কি করে বেশি সময় ধরে সেক্স করা যায় | How to have sex for longer

কি করে বেশি সময় ধরে সেক্স করা যায় | How to have sex for longer, যৌনতায় অনভিজ্ঞ আর কম অভিজ্ঞ পুরুষদের একটা ভুল ধারণা পোষণ করে যে বেশিক্ষণ সেক্স করলে বেশি মজা পাওয়া যায়। তাই তাদের সব সময় এই চেষ্টা থাকে যে কি করে বেশি সময় ধরে সেক্স করা যায়।


কি করে বেশি সময় ধরে সেক্স করা যায় | How to have sex for longer



আচ্ছা এই বিষয়ে বলে রাখি। অভিজ্ঞ মানে এই নয় যে সে হাজার হাজার মহিলার সঙ্গে সেক্স করেছে। সেক্স টাকে যদি কেউ না বোজে তাহলে হাজার জনের সঙ্গে সেক্স করেও সে অনভিজ্ঞ থেকেই যাবে। অভিজ্ঞ তাদের বলে যাদের অভিজ্ঞতা আছে। আর অভিজ্ঞতা এর অর্থ হলো বিশেষ ভাবে অর্জিত জ্ঞ্যান। তাই হাজার হাজার বার সেক্স করেও যদি সেক্স সম্পর্কে জ্ঞ্যান অর্জন করতে না পারেন তাহলে সেটা কে অভিজ্ঞতা বলে না। আমরা পুরুষরা সেক্স করার আগে ও পরে সেক্স নিয়ে কিছুই শেখার মতো ভাবনা চিন্তা করি না। শুধু নিজেদের সুখের কথা চিন্তা করি। যার ফলে হাজার হাজার বার সেক্স করেও আমাদের সেক্স সম্মন্ধে জ্ঞান খুব কম থাকে। এর প্রতিফলন ঘটে আমাদের যৌণ ব্যাবহার ও মানষিকতা তে। আর সেটা আমাদের ভালো করার বদলে খারাপই করে।


আরো পড়ুন:মেয়েদের যৌন সুখ কিভাবে পাবেন


এবার ভায়াগ্রা প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি। বেশিরভাগ পুরুষদের ধারণা বেশি সময় ধরে সেক্স করলে বেশি মজা পাওয়া যায়। আর এই ধারণা থেকেই পুরুষরা প্রয়োজন না থাকলেও ভায়াগ্রা এর মতো ঔষুধ এর প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে। আমাদের একটা জিনিস বুজতে হবে ভায়াগ্রা মূলত এক প্রকার ওষুধ। আর ওষুধ ব্যাবহার করা উচিত ডাক্তারের পরামর্শে যখন কোনো রোগ হয়। এটি ধ্বজভঙ্গ ( erection dysfunction ) রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভায়াগ্রা ওষুধটি ১৯৯৮ সালে আবিষ্কার করেছেন ফাইজার (Pfizer) কোম্পানীর তিন জন বিজ্ঞানী।


ভায়াগ্রা মূলত বাণিজ্যিক নাম। আরো বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। এর মূল উপাদানটির নাম হলো সিলডেনাফিল সাইট্রেট। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আসলে এ ধরণের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। ভায়াগ্রার সমগোত্রীয় ওষুধগুলো হলো টাডালাফিল এবং ভারডানাফিল। অর্থাৎ এই ওষুধগুলোও সিলডেনাফিল এর মতো একই কাজ করে।


আরো পড়ুন:ঠোঁটে kiss করার ফিলিংসটা কেমন


এবার সেক্স সম্মন্ধে অভিজ্ঞ রা কি বোঝে সেটা বলি। সেক্স কোনো শারীরিক অনুভূতি নয় এটা মনের অনুভূতি। শরীর শুধু মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আচ্ছা জীবনে কি কখনো প্রবল মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন ? যেমন - নিজের প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ। ভালোবাসার মানুষের মৃত্যু। প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া। ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখবেন এই সময় কোনো রকম যৌনতা ভালো লাগবে না। এই সময় আপনার আকাঙ্খিত মহিলাটি নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও আপনার পুরুষাঙ্গ টি দাঁড়াবে না। আর যদিও বা তার সঙ্গে মনের জোরে লেগে পড়েন টাও কোনো মজা পাবেন না। এর কারণ হলো আমরা শরীর দিয়ে নয় মন দিয়ে সেক্স করি। তাই মনে সেক্স এর দীর্ঘ স্থায়ীত্ব বেশি জরুরি নাকি পুরুষাঙ্গ টির দীর্ঘ স্থায়ীত্ব। সেক্স এর মজা তখনই বেশি পাবেন যখন শরীরে র থেকে মনের উত্তেজনা বেশি থাকে।


এবার বলি ভায়াগ্রা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা। আমি বেশ কয়েক বার ভায়াগ্রা ব্যাবহার করেছি। যদিও সেটা কোনো রোগের কারণে নয়, বরং সবার মতই অতি উৎসাহ এর বশে।


১. ভায়াগ্রা খেলে পুরুষাঙ্গ টি অনেক ক্ষন দাঁড়িয়ে থাকে। 


এমন কি বীর্যস্খলন এর পরেও। কিন্তু বীর্যস্খলন হলে মনের উত্তেজনা অনেক কমে যায়। তাই তার পরেও সেক্স করতে থাকলে আর সেই মজা পাওয়া যায় না। বরং যেনো নিজের কে জোর করেই সেক্স করতে বাধ্য করা হয়।



২. নিজেকে আবার মানসিক ভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে থাকি । কিন্তু হয় না।


আরো পড়ুন:বিবাহিত নারীদের চিকন কোমরের রহস্য

৩. পুরুষাঙ্গের ওই সংবেদনশিলতা আর থেকে না। মজার থেকে বেশি অস্বস্তি হয়।


৪. আবার বীর্যস্খলন এর সুখ নিতে মন চায় কিন্তু বীর্যস্খলন হয় না বা অল্প হয়।


৫. পুরুষাঙ্গ টা বার বার শুকিয়ে যায়। যাতে অসস্তি বেশি হয়। যদি কনডম পরে থাকেন তাহলে এই সমস্যা টা হয় না কারণ কনডমের ভিতরে এক রকমের জেলি থাকে।



৬. নিজে দীর্ঘক্ষণ সেক্স করতে চাইলেই তও হয় না। 



সঙ্গীর সম্মতিও চাই। আমি ভায়াগ্রা খেয়ে নিজেকে শারিরীক ভাবে দীর্ঘক্ষণ উত্তেজিত রাখলেও সঙ্গীর তও সেই সুযোগ নেই। সে স্বাভাবিক নিয়মে একটা স্বাভাবিক সময় পরে চরম উত্তেজনা উপভোগ করে আর সেক্স করতে চায় না। এই অবস্থায় জোর করে নিজে সেক্স করতে চাইলে সেটা ধর্ষন করা হয়। আর সেটা যদি করেন তাহলে নিজে ধর্ষক হয়ে যাবেন। আপনার সঙ্গী আপনাকে ধর্ষক মনে করবে। পরবর্তী কালে সে আর আপনার সঙ্গে সেক্স করতে চাইবে না।



৭. এটা ভাবা ভুল যে ভায়াগ্রা খেয়ে বেশিক্ষণ সেক্স করলে আপনার সঙ্গী আপনাকে খুব বড়ো কোনো পূরুষ মনে করবে। 


বরং উল্টো সে আপনাকে নপুংসক মনে করবে। আমাকে তও শুনতে হয়ে ছিলো যে "তোমার কি দাঁড়ায় না যে ওষুধ খেয়ে দাঁড় করতে হয়। সমস্যা আছে তও ডাক্তার দেখাও। যদি বলি বেশি মজার জন্যে ভায়াগ্রা খাই । সে যুক্তি মেয়েরা বুজবে না। তারা মুখে যায় বলুক মনে মনে ভাবে এর স্বাভাবিক পৌরুষত্ব নেই। এটা খুব অপমান জনক। আর এর জন্যে আমরাই দায়ী।



৮. এবার বেশিক্ষণ সেক্স করবো বললেই তও করা যায় না। 


সেক্স করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাই শারীরিক সক্ষমতা দীর্ঘ সময় সেক্স করার ক্ষেত্রে একটা বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বার বার হাঁপিয়ে উঠবেন। ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। শরীরে ব্যাথা হতে থাকবে।



৯. পুরুষাঙ্গ টি অপ্রাকৃতিক ভাবে দীর্ঘ সময় উত্থিত অবস্থায় থাকার ফলে তাতে ব্যাথা শুরু হবে।


আপনি চাইবেন এবার লিঙ্গ টি শিথিল হোক কিন্তু ওষুধের প্রভাবে সেটি হবে না। যার ফলে আরও অসস্তি হবে না।



১০. বিনা কারণে যদি লিঙ্গটি দাড়িয়ে থাকে তবে আরও আরও বেশি অসস্তি হতে থাকে।


ভায়াগ্রা নিয়ে কিছু সতর্ক বার্তা দি।



১. ভায়াগ্রা খেলে আপনার ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাবে।


 যদি কারও আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ থাকে তবে এ ওষুধ খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এরপরেও যদি কেউ খায় তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। তা না হলে হীতে বিপরীত হতে পারে।



২. যখন আপনার প্রেসার বেড়ে যাবে তখন আপনার লিঙ্গ অটোম্যাটিক বেশ কিছু সময়ের জন্য শক্ত থাকবে।


এটা হতে পারে যৌন মিলনের সময় ১ ঘন্টা এবং অন্যান্য সময়ে বিরতি দিয়ে দিয়ে ২ থেকে ৩ দিন। তবে এমন অবস্থায় আপনি যৌন মিলনে কোনো মজা পাবেন না।



আপনার সঙ্গীও কোনো আনন্দ পাবে না। কারণ, এটা যে ওষুধের ইফেক্ট এটা দুজনেই জানেন। মন থেকে আবেগ আসা আর ওষুধ খেয়ে আবেগ তৈরী করার মাঝে অনেক তফাৎ রয়েছে। কৃত্রিম আনন্দ কখনো আসল আনন্দের সমান হতে পারে না।



৩. যখন ভায়াগ্রা খাবেন বা সেবন করবেন তার আধা ঘন্টার মধ্যেই আপনার মধ্যে উত্তেজনা আসবে।

 

তখনই আপনার সঙ্গীর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু সম্মতি না থাকলে আপনাকে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে। না পারবেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে, না পারবেন বোঝাতে।



৪. মদ বা নেশাজাতীয় কিছু খেলে যেমনটা হয় আপনার শরীর ঠিক তেমন হবে।


মাঝে মাঝে শরীর হ্যাং অভার হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে প্রচুর মাথা ব্যথা হতে পারে। ওষুধ খেয়ে এ ধরণের ব্যথা আপনি কমাতে পারবেন না। সাধারনত পরিমিত বিশ্রাম নিলে এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।



৫. সাধারনত দুই পা অবস হয়ে থাকবে। 


কারণ, ওষুধ খাওয়ার পরে আপনার পায়ে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমে গিয়েছিল আর লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ সর্বাধিক ছিল। ওষুধ ছাড়া যৌন মিলন করলেও দেখবেন অনেক সময় পা সামান্য অবশ হয়ে যায়।



৬. আপনার যেকোন সময় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।


 কারণ, অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহের কারণে আপনার উত্তেজনা অধিক থাকে। যৌন মিলনের সময় অতিরিক্ত লাফালাফি করলে চিরজীবনের জন্য ওপারে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।



৭. পরপর কয়েকদিন ওষুধ খাওয়ার পরে আপনার যৌন শক্তি আর আগের ন্যায় থাকবে না।

 

তখন এই ওষুধ ছাড়া আপনার মধ্যে আর তেমন উত্তেজনাই আসবে না। সহজ কথায়, ওষুধ খাওয়া ছাড়া লিঙ্গ দাড়াবে না।



৮. হয়তো আপনি চির দিনের জন্য ধ্বজভঙ্গ হয়ে যেতে পারেন। এরকম বহু প্রমাণ আছে।


 সুতরাং সেক্স পাওয়ার কিছুটা কম থাকলেও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।



৯. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতি সম্প্রতি ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন।

 

যদিও এখনও দেশের বহু জায়গায় এর বাজারজাতকরন হচ্ছে। তবে মানব স্বাস্থ্যের জন্য এই ওষুধ চরম ক্ষতিকর।


১০. কেউ যদি নাইট্রেট জাতীয় ওষুধ সেবন করে তবে তার কোনভাবেই ভায়াগ্রা সেবন করা যাবে না।


 তা না হলে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।



একটা ঘটনা বলি। কিছুদিন আগেই ভারতের উত্তর প্রদেশের একটা নিউজ পড়ি। এক নব বিবাহিত ব্যাক্তি দীর্ঘ সময় সেক্স করার জন্যে বন্ধু দের পরামর্শে ভায়াগ্রা জাতীয় ওষুধ সেবন করতে থাকে। কিছু দিন ভালো যাবার পরে তার সমস্যা দেখা দিতে থাকে। জানা যায় ৩ মাস ধরে তিনি নিয়মিত ওই যৌণ উত্তেজক ওষুধ সেবন করতে থাকেন। পরিণতি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। যখনই তার লিঙ্গ উত্থান ঘটে তখনই সে প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার একটি নুতুন রোগ তৈরি হয় যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলে **Priapism** ।



এতে রোগীর কোনো রকম যৌণ উত্তেজনা ছাড়াই দীর্ঘ ক্ষন তার লিঙ্গ উত্থান হয়ে থাকে। জানা যায় ২০ দিন ধরে তার লিঙ্গ উত্থান অবস্থায় থেকে যায়। যার পরিণতি যন্ত্রণা। তার জীবন বাঁচাতে ডাক্তার রা তার লিঙ্গে দুই বার অপারেশন করেন। হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির দেহে সফলভাবে পিনাইল প্রস্থেসিস সার্জারি করা হয়েছে। ফলে তাঁর বাবা হতে আর কোনও বাধা নেই। তবে চিকিত্সকদের মতে, ওই ব্যক্তিকে স্থায়ী লিঙ্গোত্থানের সমস্য়া সারা জীবনই থাকবে। তাঁর গোপনাঙ্গের উত্তেজনা কখনই কমবে না। তাই আমৃত্যু লিঙ্গোত্থান গোপন রাখতে তাঁকে আঁটসাঁট কাপড় পরতে হবে।



এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে এই রকম ঘটনা কাকতালীয়। আজকাল এই রকমের ঘটনা প্রচুর ঘটছে। কিন্তু চক্ষু লজ্জার কারনে তাদের অধিকাংশ প্রকাশ পায় না।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post